চট্টগ্রামের শিকারিদের হাত ধরে এদেশে জ্বালানি চার জনপ্রিয়তা পেয়েছে। হাতের কাছের উপকরণ, সহজ প্রস্তুত প্রনালী, অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী এবং অত্যন্ত কার্যকারী হওয়ায় এই চারের ব্যাবহার বিগত বছরগুলতে এদেশের এংলারদের মদ্যে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই আলোচনায় আমরা জ্বালানি চারের বেসিক কনসেপ্ট ও এর ফাঙ্কশন নিয়ে নতুন শিকারিদের একটা ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব।
জ্বালানী চার
উপকরনঃ
বেইজ মিক্সঃ
১- সরিষার খৈল – ১ কেজি
২- নারকেল এর খৈল – ৫০০ গ্রাম
৩- ঘি এর ছাকা বা গাদ – ২ কেজি
বাইন্ডারঃ
১- চিনিগুড়া চালঃ ২৫০ গ্রাম
২- চিনি/গুড় – ৫০০ গ্রাম
৩- গুড়ো দুধ – ১৫০ গ্রাম
৪- সাবু দানা – ১০০ গ্রাম
মসলাঃ
১- মহুয়া – ৫০ গ্রাম
২- এলাচ – ১০/১৫ টি
৩- দারুচিনি – ২ ইঞ্চি
৪- লতকন দানা – ২০ গ্রাম
৫- ভাদিয়ান – ১০ গ্রাম
অন্যান্যঃ
১-ঘি -২ টেবিল চামচ
২- নারকেল তেল -১০০ গ্রাম
৩- চিড়া – ৫০০ গ্রাম
প্রস্তুত প্রনালীঃ
১। একটা বাটিতে পানি নিয়ে সাবুদানা আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন এবং পরবরতিতে হাত দিয়ে কচলে যতটুকু সম্ভব মিহি করে ফেলুন।
২। বেইজ মিক্স এর উপাদানগুলো আলাদা ভাবে ভেজে নিন।
৩। রেসিপিতে বর্ণিত মসলাগুলো একত্রে গুঁড়ো করে নিন।
৪। চিনিগুড়া চাল ভালভাবে ধুয়ে একটা বড় হাঁড়িতে নিন এবং পর্যাপ্ত পানি নিন।
৫। হাঁড়িতে নারকেল এর খৈল, সাবুদানা, চিনি/গুড়, গুঁড়ো দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
৬। সমস্ত গুঁড়ো মসলা হাঁড়িতে দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
৭। ঘি এবং নারকেল তেল হাঁড়িতে দিয়ে দিন।
৮। এবার হাঁড়ি চুলায় দিয়ে নাড়তে থাকুন।
৯। খেয়াল রাখবেন, হাঁড়ির নিচে যেন লেগে না যায়।
১০। হাঁড়ির ভেতরের সব উপকরণ যখন থকথকে আঠালো পায়েস এর মত হয়ে যাবে তখন প্রথমে আস্তে আস্তে ঘি এর গাদ ঢালতে থাকুন এবং নাড়তে থাকুন
১১। একই ভাবে সরিষার খৈল ঢালতে থাকুন ও ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে দিন।
১২। সবশেষে অল্প অল্প চিড়া ছড়িয়ে দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
আপনার জ্বালানী চার এখন মাছ ধরার জন্য সম্পূর্ণ রেডি।